,

নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ৩ সন্তানের জননীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালত (৩) এ মামলা দায়ের করেছেন ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নির্যাতিতা গৃহবধূ। এছাড়া একইদিন আদালতে এফিডেভিট ও করেন ওই নারী। এফিডেভিটে তিনি উল্লেখ করেন নবীগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মাননীয় আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। মামলায় ঘটনা সম্পুর্ণ সত্য বলেও তিনি এফিডেভিটে উল্লেখ করেন। মামলার আসামী হলেন সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার গোতগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুর রবের পুত্র আব্দুল খলিছ। গত বূহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০০৩) এর ৯ (১) ধারা অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। নির্যাতিতা গূহবধূ মামলায় উল্লেখ করেন ধর্ষক আব্দুল খলিছ খারাপ ও নারী নির্যাতনকারী লোক। আব্দুল খলিছ জগন্নাথপুর উপজেলার বাসিন্দা হলে ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী হওয়ায় ভিকটিম ওই নারী পার্শ্ববর্তী বাড়ীর বাসিন্দা। তাই ওই গূহবধু রাস্তাঘাটে বের হলে ধর্ষক আব্দুল খলিছ অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করত এবং কুপ্রস্তাব দিতো। ওই নারী তার কুপ্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি অভিভাবকসহ এলাকার মুরব্বিয়ানদের কাছে বিচার প্রার্থী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আব্দুল খলিছ। মামালায় উল্লেখিত তারিখ অনুযায়ী গত ১০ অক্টোবর শুক্রবার ওই নারীর স্বামী তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। ভিকটিম রাতের খাবার শেষে তার বসত ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। স্বামী সন্তান বাড়িতে না থাকার সুবাধে রাত প্রায় ১১ টার দিকে আব্দুল খলিছ কৌশলে রুমের দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে ঝাপটাইয়া ধরে। এ সময় সে চিৎকার করলে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে এবং গলায় ছুরি ধরে চুপ থাকতে বলে। নির্যাতিতা নারী মৃত্যুর ভয়ে চুপ থাকলে আব্দুল খলিছ তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা নারী মামলায় উল্লেখ করেন কিছুটা বিলম্বে নবীগঞ্জ থানায় মামলা নিয়ে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মাননীয় আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন।


     এই বিভাগের আরো খবর